Message from the head of the organization

Picture

জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান আর জ্ঞানার্জনের মাধ্যম হলো বই, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক। শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর। একটা শিক্ষিত জাতি গঠনে শিক্ষা ও শিক্ষকের গুরুত্ব অপরিসীম। শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উন্নতি লাভ করতে পারেনা। শিক্ষার উন্নয়নের জন্য দরকার একটি যথোপযুক্ত শিক্ষানীতি। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত স্বাধীন বাংলাদেশকে সোনার বাংলা গড়ার জন্য অনেক শিক্ষা কমিশন গঠন করা হলেও কোন শিক্ষানীতিই শতভাগ সফলতা পায়নি আবার অনেক শিক্ষানীতি কোন আলোর মুখই দেখেনি, ছিল ফাইল বন্দি। প্রায় চার দশক অতিবাহিত হলেও হয়নি আর কোন শিক্ষানীতি। ফলে চল্লিশ বছরেও স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশ দারিদ্রকে জয় করতে পারেনি। পারেনি বাংলাদেশকে উন্নয়নের দিকে ধাবিত করতে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য তনয়া, দেশরতœ, জননেত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে বিষয়টি উপলব্ধি করেন এবং ২০১০ সালে শিক্ষানীতি ঘোষনা করেন যা ২০১৮ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত করার লক্ষ্য ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ করেন আর ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরও শক্ত করেন তাঁরই উত্তরসুরী, সুযোগ্য পুত্র শেখ সজীব ওয়াজেদ জয়। ডিজিটাল কনটেন্ট দিয়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস পরিচালনার মাধ্যমে শ্রেণি ব্যবস্থাপনায় তিনি আমুল পরিবর্তন আনায়ন করেন। শিক্ষকদের জন্য সবচেয়ে বড় ওয়েবসাইট শিক্ষক বাতায়ন ও মুক্তপাঠ নামে আরও একটা ওয়েবসাইটের ব্যবস্থা করেন যার মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে জড়িত সকলে যার যার অবস্থান থেকে স্বশিখনের মাধ্যমে নিজেদেরকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন।১৯৭০ সালে নির্মিত কোদন্ডা মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সৈনিক গড়তে, উন্নত জাতি গঠন করতে এবং সর্বোপরি সকলের সহযোগিতায় ও আন্তরিকতায় বিদ্যালয়টিকে জেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়ে পরিনত করতে আমি নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।

ধন্যবাদান্তে

দুখীরাম ঢালী